Saturday, August 18, 2012

অবশেসে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮ প্রসেসর-নির্ভর টাচ স্ক্রিন ট্যাবলেট এর ঘোষনা দিল।

অবশেসে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮ প্রসেসর-নির্ভর টাচ স্ক্রিন ট্যাবলেট এর ঘোষনা দিল।

‘সারফেস’ নামের উইন্ডোজ ৮ প্রসেসর-নির্ভর টাচ স্ক্রিন ট্যাবলেট তৈরির ঘোষণা দিল মাইক্রোসফট। এই ট্যাবলেটটি ইনটেল ও এআরএম দুই প্রসেসরই সমর্থন করবে। এ ছাড়া মাইক্রোসফট
অফিস, ফটোশপের মতো সফটওয়্যারগুলোও এই ট্যাবলেটে চালানো যাবে।
১৮ জুন লস অ্যাঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘সারফেস’ ট্যাবলেটটির ঘোষণা দিয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ বলমার। জানিয়েছে বিবিসি ।
স্টিভ বলমার জানিয়েছেন, ১০.৬ ইঞ্চি মাপের ম্যাগনেশিয়ামের তৈরি ‘সারফেস’ ট্যাবলেটের সঙ্গে থাকছে কিকস্ট্যান্ড বা বিল্ট ইন স্ট্যান্ড, যা ট্যাবলেটটিকে ল্যাপটপের মতো ব্যবহারের সুবিধা দেবে। ৯.৩ মিলিমিটার পুরুত্বের ট্যাবলেটটি উইন্ডোজ আরটি সংস্করণে চলবে। এর ওজন ১.৩ পাউন্ড। পাশাপাশি সারফেস ট্যাবলেটে থাকছে গোরিলা গ্লাস২ যুক্ত এইচডি ডিসপ্লে, ওয়াই-ফাই, মাল্টি টাচ কিবোর্ড ট্র্যাক প্যাড, এইচডিএমআই, মাইক্রো এসডি, ইউএসবি ২.০ ও ৩২ অথবা ৬৪ গিগাবাইট স্টোরেজ বা তথ্য সংরক্ষণ সুবিধা।
বলমার জানিয়েছেন, উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গেই ‘সারফেস’ ট্যাবলেটটি বাজারে ছাড়া হবে। এর দাম এআরএম-নির্ভর অন্যান্য ট্যাবলেটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণই হবে। অর্থাত্ সারফেসের দাম হাতের নাগালেই থাকবে।
এআরএম-নির্ভর ট্যাবলেট ছাড়া ইনটেল-চালিত সারফেস ট্যাবলেটের আরও একটি সংস্করণ বাজারে ছাড়ার কথা জানিয়েছে মাইক্রোসফট। সংস্করণটি হবে উইন্ডোজ ৮ প্রো-নির্ভর।। এআরএম-ভিত্তিক ট্যাবলেটের চেয়ে আকারে একটু বড়ই হবে এটি। ট্যাবলেটটিতে থাকবে ৪২ডব্লিউ-এইচ ব্যাটারি, কোর আই ফাইভ আইভি ব্রিজ প্রসেসর, ইউএসবি ৩.০ পোর্ট এবং ৬৪ অথবা ১২৮ গিগাবাইট স্টোরেজ-সুবিধা। এ ছাড়া এর ১০.৬ মাপের স্ক্রিনে থাকবে ১০৮০ পিক্সেল রেজুলেশন।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রযুক্তি পণ্যনির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ট্যাবলেট কম্পিউটার নিয়ে মেতে আছে। বর্তমান সময়টাকে প্রযুক্তি ট্যাবলেট কম্পিউটারের যুগ হিসেবেই উল্লেখ করছেন তাঁরা। অথচ এই ট্যাবলেট যুগে মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না! বিষয়টিকে আর সেভাবে ভাবার কোনো অবকাশ থাকছে না। বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, সারফেস ট্যাবলেটটি অ্যাপলের আইপ্যাড ‘ঘাতক’ হিসেবে বাজারে আসবে।
এর আগে ২০১০ সালের আগে ‘কুরিয়ার’ নামে ডুয়াল টাচ স্ক্রিন ও ভাঁজ করা যায়—এমন হাইব্রিড ট্যাবলেট তৈরির কাজ শুরু করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু আইপ্যাড বাজারে আসায় কুরিয়ার প্রকল্প বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এবার সারফেস ট্যাবলেটের মাধ্যমে বাজারে প্রবেশ করল মাইক্রোসফট।
বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, বাজারে অ্যাপলের আইপ্যাড ও অ্যান্ড্রয়েড-নির্ভর বিভিন্ন ট্যাবলেটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে মাইক্রোসফটের সারফেস ট্যাবলেটকে।